জুয়া বা বাজি এমন একটি খেলা বা এমন একটি প্লাটফর্ম যার মাধ্যমে আর্থিক লাভ লোকশান ঘটে। জুয়া খেলা মূলত নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ বা বস্তু বা পুরস্কার হিসেবে ধার্য করা হয় এমন কোন জিনিস দ্বারা নির্ধারণ করা হয় যা একে অপরের পক্ষ থেকে সমানভাবেই বাজেট থাকে। জুয়া খেলার দুটি পক্ষ থাকে যেই দুইটি পক্ষ থেকে একই পরিমাণ এর অর্থ বরাদ্দ দিয়ে সেই খেলনা পরিচালনা করা হয় এবং এই খেলার চুক্তি মোতাবেক হারজিতের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ফলাফল প্রকাশের পর যেই পক্ষ-বিজয়ীতা হবে বাজে পক্ষ জয়ী হবে তাকে সকল অর্থ সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সাধারণভাবে বলতে গেলে দুই পক্ষ একই অর্থ নির্ধারণ করে বাজি খেলায় অংশগ্রহণ করবে এবং যেই পক্ষ হেরে যাবে অপরপক্ষকে নির্ধারিত অর্থ বা বস্তু প্রদান করতে হবে।
সাধারণত জোড়া এমন একটি জিনিস যে এই খেলাতে দুই পক্ষ সম্মতি জ্ঞাপন করে কিছু অর্থ বাজি ধরে যে খেলা শুরু করা হয়। তবে দুই পক্ষেরই খেলোয়াড় বিন্দু এবং দুই পক্ষকেই পরোক্ষ বা উভয় পক্ষের ঝুঁকি নিতে হয়। দুই পক্ষই যখন ঝুঁকি নিয়ে এই জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করে এবং বিজয়ীতা দল কখনো কখনো সাথে সাথেই তার বিজয়ী পুরস্কার গ্রহণ করতে পারে এবং কিছু সময় একটু দেরিতে তার বিজয়ী পুরস্কার দেওয়া হয়। এই জুয়াই টি নেশার মত জুয়ার মাধ্যমে অনেক মানুষ তাদের সুন্দর সংসার নষ্ট করেছেন এবং জুয়ার মাধ্যমেই অনেক মানুষ নষ্ট হয়েছেন যার প্রভাব পড়ে তার গ্রামে অর্থাৎ তার পরিবারে।
জুয়া নিয়ে উক্তি
ইতিপূর্বেই আপনারা বুঝতে পেরেছেন জুয়ায় কি কেমন আসক্ত কর এবং ক্ষতিকর জিনিস। জুয়া খেলে অনেক মানুষ এই তাদের অর্থ হেরে গিয়েছেন এবং তারা পথের ফকির বনে গিয়েছেন। একমাত্র যুয়াই পারে একজন মানুষকে ধনী থেকে দ্রব্য করে তুলতে এবং মন মানসিকতা নিচু করে তুলতে। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম জুয়া নিয়ে ক্যাপশন উক্তি স্ট্যাটাসগুলো। আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম যুব নিয়ে উক্তিগুলো যারা ইতিপূর্বেই জুয়া নিয়ে নানা রকম উক্তিগুলো সংগ্রহ করার জন্য তথ্য অনুসন্ধান করেছিলেন তাদের জন্য প্রতিবেদনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
যদি ভালোবাসার বাজি হেরে যাই তাহলে বিরহের কবিতা লিখব।
আর যদি জিতে যাই প্রিয়, তাহলে বাকিটা তুমি বুঝে নিও।
বাজি ধরার শুধু সাময়িক মোহ বা আনন্দ তৈরি করে,
যা জীবন ও সময় দুটোই নষ্ট করে দিয়ে যায়।
অতএব এর থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
জুয়া নিয়ে স্ট্যাটাস
জুয়ানী নিয়ে সকল দেশে বিভিন্ন রকম আইন স্বীকৃত হয়েছে এবং তারা বিভিন্ন দেশের সুন্দরভাবে জুয়া কে বরখাস্ত করার জন্য আইন তৈরি করা হয়েছে। তবে যারা জুয়া খেলেন তারা আইনকে তরকা না করে তারা তাদের মতো করে সুন্দর এবং নির্ধারিত একটি গোপন স্থানে তারা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করেন এবং সেখান থেকে হারজিত উপভোগ করেন। এমন একটি জিনিস কিছু সময়ের জন্য আপনাকে এ লাভবান করে তুলবে তবে তার পরে পড়ি আপনি এই গেমের মধ্যে অর্থাৎ এই জুয়ার মধ্যে আসক্ত হয়ে পড়বেন এবং তখন থেকেই আপনাকে ধীরে ধীরে চুষে নেবে এই জুয়া। তাই যারা জুয়া খেলায় হেরে গিয়েছেন বা জুয়া খেলে নিজেকে সর্বশ্রান্ত করে দিয়েছেন তাদের জন্য এই প্রতিবেদনটিতে কিছু স্ট্যাটাস তুলে ধরা হলো।
জুয়া এমন একটি জিনিস যে আপনার জীবনকে নষ্ট করবে এবং আপনার পরিবারকে সহ।
যে জুয়ায় আসক্ত সে পৃথিবীর মহ বোঝেনা।
জুয়াতে আসক্ত যে পরিবারের ভালোবাসা নেই তার কাছে।
জুয়া নিয়ে ক্যাপশন
প্রাচীন প্রশস্ত যুগে আগেও জুয়া খেলার প্রচলন ছিল বলে ধারণা করা হয়, যিশুখ্রিস্টের জন্মের ৩ হাজার বছর পূর্বে ইরাক সিরিয়া তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে বাজি খেলা হতো ৬ পার্শ বিশিষ্ট ছোট ছোট গুটি আকৃতির বস্তু দিয়ে যা এমন পাছা নামে পরিচিত। ১৬৩৮ সালে ইতালির ভেনিসে প্রথম জুয়া খেলার আসর হত যেটি ইন্টারন্যাশনাল হিসেবে পরিচিত ছিল। তখন থেকে জুয়া খেলার প্রচলন এখন পর্যন্ত বিরজমান রয়েছে। এবং সেই জুয়া থেকেই মানুষ আজকের সর্বশ্রান্ত হয়ে গিয়েছে তাই এই জুয়া নিয়ে প্রথমত অনেকেই নানা রকম প্রশ্ন জানতে চাই এবং তারা জুয়াকে বন্ধ করার জন্য নানারকম উক্তি স্ট্যাটাস কমিশন গুলো অনুসন্ধান করে যেই স্লোগানের মাধ্যমে জুয়া কে নিষ্পত্তি করা যাবে। তাই আমরা আপনাদের সামনে কিছু ক্যাপশন তুলে ধরলাম।
শুধুমাত্র জুয়ার মাধ্যমেই পরিবারকের সর্বস্বান্তকর নেয়া যায়।
জুয়া সাময়িক সময়ে আপনাকে কোটিপতি করলেও,
একদিন আপনাকে পথের ভিখারী করবে নিশ্চিত।
আপনি যদি ভিখারি হতে চান তাহলে জুয়াই আসক্ত হন।
জুয়াখোর মানুষকে কোন মানুষ এই পছন্দ করেন না।
জুয়া নিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টি
জুয়া নিয়ে ইসলাম ধর্ম: ইসলাম ধর্মে পরিপূর্ণভাবে বলা হয়েছে জুয়া সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এটি পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’আলা বলেন।
জুয়া নিয়ে হিন্দু ধর্ম: হিন্দুদের মহাভারত হতে জানা যায় যে প্রাচীন ভারতের জুয়া খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। পঞ্চপান্ডব জুয়ার মাধ্যমে তাদের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেন, তারপরেই তারা সর্বোচ্চ জন্য যুদ্ধ করেন।
জুয়া নিয়ে ইহুদি: প্রাচীন ইহুদি সম্প্রদায় ও জুয়াকে নিকৃষ্ট নজরে দেখা হতো। এমনকি তাদের আদালতে কোন জুয়াড়ির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হতো না।
জুবা নিয়ে খ্রিস্ট ধর্ম: কিছু ধর্মজাতক জুয়াকে বৈধ ও কিছু অবৈধ ঘোষণা করেছেন।
আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম জুবা নিয়ে যাবতীয় তথ্যগুলো। আশা করি ইতিপূর্বে যারা চুবা নিয়ে নানা রকম তথ্যগুলো অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করেছেন তারা এখন থেকে আমাদের এই প্রতিবেদনটি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন সকল তথ্যগুলো। এবং আপনি যদি দুয়াতে আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে খুব শীঘ্রই এজুহাত থেকে মুক্তি নিয়ে নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করুন। না হলে এইযু আপনাকে একদিন সর্বশ্রান্ত করে তুলবে এবং সকল মানুষের কাছে আপনি অপ্রিয় হয়ে যাবেন। সমাজের মানুষ আপনাকে ভালোবাসবে না সকলের কাছে আপনি ঘৃণিত ব্যক্তি হবেন তাই বেঁচে থাকতে অথবা ভালো থাকতেই ভালোর পথে ফিরে আসুন। সময় দিয়ে সাথে থাকার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।