প্রিয় ভিজিটর আজকে আমরা আপনাদের সামনে আলোচনা করব হালাল এবং হারাম সম্পর্কে। আপনারা আমাদের এই প্রতিবেদনটি থেকে জানতে পারবেন হালাল এবং হারাম এর মধ্যে পার্থক্য সমূহ এবং কিভাবে আপনি হালাল জিনিস গুলো বেঁচে নির্বাচন করতে পারবেন। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত সকল জিনিসপত্র এর মধ্যে কিভাবে আপনি যাচাই করবেন হালাল এবং হারাম। তাই আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটি সুন্দরভাবে সাজিয়েছি যাতে আপনারা খুব সহজেই জানতে পারে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জিনিসপত্র এর মধ্যে হারাম এবং হালাল সম্পর্কে। এবং আমাদের মাঝে কিছু সংখ্যক ভিজিটর রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত অনুসন্ধান করে চলেছেন হারাম নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো। শুধুমাত্র আপনি আমাদের এই প্রতিবেদনটি থেকে জানতে পারবেন হারাম নিয়ে উক্তি হারাম নিয়ে স্ট্যাটাস হারাম নিয়ে ক্যাপশন হাত নিয়ে বাণী সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য সমূহ সম্পর্কে।
হালাল হারাম নিয়ে উক্তি
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে 50, 60, 70, 80, বছরের হায়াত দিয়েছেন। এই হায়াতি তার বান্দাকে দিয়েছেন তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে দুইটি পথ দিয়েছেন, একটি হলো ভালো পথ এবং আরেকটি হলো খারাপ পথ। এই দুইটি পথের মধ্যে দুইটি পথেই আপনার জন্য উন্মুক্ত, তবে দুইটি পথে আপনার জন্য উন্মুক্ত হলেও আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কোন পদটি আপনি বেছে নিবেন। আপনি চাইলেই ভালো পথটি বেছে নিতে পারেন এবং আপনি চাইলে খারাপ পথ থেকে বেছে নিতে পারেন এটি আপনার উপর নির্ভর। সেরকমই আল্লাহ তাআলা রাব্বুল আলামিন আপনাকে সকল বিষয়ে পরীক্ষা করার জন্য আপনাকে হালাল এবং হারাম দুটি আপনার সামনে প্রকাশ করে দিয়েছেন, এই হালাল এবং হারাম এর মধ্যে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোনটি আপনার জন্য জায়েজ। এজন্য আমরা আপনাদের সামনে হালাল এবং হারাম নিয়ে কিছু উক্তি উল্লেখ করলাম যেগুলো আপনাদের প্রয়োজন এবং কাজে লাগবে আশা করি।
“আমার ভয় হয় খ্যাতির কারণে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর কাছে আমাদের কোনো ভালো আমলই থাকবে না।”
— আইয়্যুব আস সাখতিয়ানি রাহিমাহুল্লাহ
“নারী-পুরুষের জৈবিক ভালোবাসাকে প্রমোট করতে হয় না। এটা এমনিতেই (সৃষ্টিগতভাবে) প্রমোটেড। এটাকে বরং কন্ট্রোল করতে হয়।”
—- [ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)
হালাল ও হারাম আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তাই প্রত্যেক মুমিন নিঃসংকোচে তার অনুসরণ করে। কেননা সে বিশ্বাস করে, ‘তিনি তাদের জন্য পবিত্র (ও উত্তম) বস্তু হালাল করেছেন এবং অপবিত্র (ও অনুত্তম) বস্তু হারাম করেছেন। ’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ১৫৭)
হারাম বস্তু হালাল পন্থায় অর্জন করলেও তা যেমন হালাল হবে না, অনুরূপ হালাল বস্তু হারাম পন্থায় লাভ করলে তা–ও হালাল বা বৈধ হবে না।
হারাম নিয়ে উক্তি
আল্লাহতালা রব্বুল আলামীন আপনাকে দুটি রাস্তা দিয়েছেন যে দুটির মধ্যে হালাল এবং হারাম রয়েছে সেই দুটির মধ্যে আপনাকে একটি নির্ধারণ করতে হবে এবং আপনাকে সঠিক পথ বেছে নিয়ে সঠিক পথ অনুসরণ করতে হবে। আপনার জীবন সাজানোর জন্য আপনাকে চেষ্টা করতে হবে এবং আপনার জীবনে হালাল-হারামের জায়গাটি আপনি নিজেই নির্ধারণ করবেন। আপনার জীবনটাকে আপনি নিজেই সাজাবেন এবং আপনার জীবনে আপনি হালালকে কতটা গুরুত্ব দিবেন সেটি আপনার কাছেই নির্ধারিত। তবে ঈমানদার ব্যক্তিরা অবশ্যই হালাল জিনিস অনুসরণ করে এবং হালাল জিনিস গ্রহণ করে। এবং তারা হালাল জিনিস গ্রহণ করার পরেও অনেক সময় হালাল নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করার চেষ্টা করে। এছাড়াও অনেকেই আছেন যাঁরা হারাম নিয়ে স্ট্যাটাস এবং হারাম নিয়ে উক্তি গুলো বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করার চেষ্টা করে তাদের জন্য এই প্রতিবেদনটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম। হারাম নিয়ে উক্তি গুলো।
“রোজা মানুষকে আখেরাত মুখী করে।”
—- আল হাদিস
সে-ই প্রকৃত পুরুষ যে আল্লাহর জন্য কাঁদে।
— ওমর সুলাইমান
হারাম নিয়ে ক্যাপশন
আল্লাহতালা আপনাদের জন্য হালাল হারাম সকল জিনিসেই উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। তবে এটিও বলেছেন যে তোমরা হালাল হারাম বেচে তারপরেই ভোগ করো। আপনি যদি হালাল-হারাম নির্বাচন করে এবং বেছে নিয়ে ভোগ করতে না পারেন তাহলে আপনার জন্য কুরআন হাদিসে বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এবং আল্লাহ তা’আলা কোরআন হাদিসে উল্লেখ করেছেন যে এই শরীরটি হারাম ভক্ষণ করেছে সেই শরীরটি কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। এরকমই সতর্কবার্তা দিয়েছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। তাই আপনি আমি হালাল এবং হারাম নির্ধারণ করে গ্রহণ করার চেষ্টা করব। এছাড়াও হালাল এবং হারাম সম্পর্কে আমাদের প্রিয় ব্যক্তিদেরকে জানার চেষ্টা করব এবং যাতে তারা হালাল এবং হারাম বেঁচে চলতে পারে। তবে হালাল হারাম সম্পর্কে তাদেরকে জানার জন্য আমরা একযোগে জানাতে পারি অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ারের মাধ্যমে। আমরা আমাদের এই নিবন্ধটিতে উপস্থাপন করলাম হারাম নিয়ে কিছু উক্তি যেগুলো আপনারা শেয়ার করতে পারবেন আপনার প্রিয় মানুষদের সাথে এবং তাদেরকে সতর্ক করতে পারবেন।
হারাম নিয়ে স্ট্যাটাস
আল্লাহতালা বলেছেন আমরা দৈনন্দিন জীবনে যে সকল এবাদত করি, যেমন নামাজ, রোজ, দান, সদকা, যাকাতের ইবাদত আমাদের থাকলেও আমরা যদি এক বিন্দু হারাম ভক্ষণ করি তাহলে আমরা কখনোই জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবোনা। এবং এও বলেন যে আপনার নামাজ-রোজা যাকাত দিয়ে প্রচুর ইবাদত থাকলেও এক পরিমাণ হারাম থাকলে সেটি আপনার সকল ইবাদতের থেকেও বেশি হবে। এত বড় সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও আমরা হারামকে বর্জন করি না। তাই আমরা নিজেও হারামকে বর্জন করব এবং আমাদের প্রিয় ব্যক্তিদের এবং কাছের মানুষদের হারাম থেকে বিরত রাখার উপদেশ দিব। তবে প্রিয় মানুষদের সরাসরি হারাম থেকে বিরত রাখার উপদেশ দিলে হয়তো তারা অন্য কিছু মনে করতে পারে। এজন্য আপনি-আমি আমাদের এই প্রতিবেদনটি থেকে হারাম নিয়ে কিছু হাদিস এবং হারাম নিয়ে কিছু বানী সংগ্রহ করে তাদের সাথে শেয়ার করব এসএমএসের মাধ্যমে অথবা অনলাইন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে।
“আল্লাহর ভয় মানুষকে সকল ভয় হতে মুক্তি দেয়।”
— ইবনে সিনা
‘তোমাদের জিহবায় মিথ্যা উচ্চারিত হয় বলে তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপের মানসে বল না যে, এটা হালাল, ওটা হারাম’
(নাহল ১১৬)।
হারাম নিয়ে স্ট্যাটাস
আল্লাহতালা এও বলেন আপনি যদি প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের আমল করতে হবে। সকল আমলের সাথে আমাদের ব্যক্তিদেরকে হালাল এবং হারাম সম্পর্কে সতর্ক করার আমলটি বলেছেন হাদিসে। তাই আমরা সকল মুমিনের জানাবো হালাল এবং হারাম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যাতে তারা হালাল বেছে নেয় এবং হারামকে পরিত্যাগ করে। হালাল হারাম সম্পর্কে জানানোর জন্য আপনাদের অবশ্যই কিছু সুন্দর হারাম নিয়ে স্ট্যাটাস প্রয়োজন যেগুলো আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে সুন্দরভাবে তুলে ধরলাম।
“অভ্যাসকে জয় করাই পরম বিজয়।”
— হযরত আলী (রাঃ)
আল্লাহ কেনাবেচা তথা ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম। –
সূরা বাকারাঃ ২৭৬
হারাম নিয়ে ইসলামিক হাদিস
কিছু মোমিনগণ আছেন যারা হারাম নিয়ে ইসলামিক হাদিস গুলো অনুসন্ধান করেন এবং তারা হারাম নিয়ে গবেষণা করেন। তারা গবেষণা করেন কীভাবে হালাল এবং হারাম নির্ধারণ করে এবং হারাম এবং হালাল এর পার্থক্য বের করে চলা যায়। এছাড়াও তারা অনুসন্ধান করেন আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করেছেন হালাল এবং হারাম সম্পর্কে ইসলামিক কিছু হাদিস যেগুলো আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম। হারাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা আল কোরআনে কি উল্লেখ করেছেন সেটি জানার জন্য আমাদের প্রতিবেদনটি মনোযোগ সহকারে দেখুন। আমরা হারাম নিয়ে কিছু ইসলামিক হাদিস আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম এবং কিছু ইসলামিক হাদিস এবং কিছু ইসলামিক আয়াত তুলে ধরলাম যাতে আপনারা ইসলাম কি বলে হারাম সম্পর্কে সেটি জানতে পারেন।
একজন মানুষের অন্তর যদি রোগগ্রস্ত না হয় তাহলে সে কোনদিন, কোন অবস্থাতেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা ছাড়া অন্য কাউকে ভয় পাবে না
— ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)
আমাদের এই প্রতিবেদনটিতে যাবতীয় তথ্য গুলো আমরা উল্লেখ করলাম যাতে আপনারা খুব সহজেই জানতে পারেন হালাল এবং হারাম সম্পর্কে। হালাল এবং হারাম এর পার্থক্য বের করে আপনারা যেন চলতে পারেন এজন্য আমরা আমাদের এই প্রতিবেদনটি সাজিয়েছি। এছাড়াও রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর দেখানো পথে চলতে পারেন এজন্য আমরা আপনাদের সামনে কিছু তথ্য উপস্থাপন করলাম। আমাদের প্রতিবেদনটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই অনলাইন প্রার্থনা গুলোতে শেয়ার করবেন এবং আপনাদের প্রিয় মানুষদের সাথে শেয়ার করবেন। এবং সকলকে হারাম এবং হালাল সম্পর্কে বোঝার চেষ্টা করবেন।